ভাষার জন্য প্রাণ দেয়া প্রথম বা একমাত্র জাতি আমরা নই
- Anupam Deb Kanunjna
- Feb 21
- 5 min read
ভাষার দাবিতে প্রাণ দেয়া একমাত্র জাতি আমরা? ভাষার দাবিতে প্রথম প্রাণ দেয়া জাতি আমরা? চলুন, আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ভাষা আন্দোলনের গল্প জানি৷

১) তামিল ভাষা আন্দোলন
১৯৩৭ সাল৷ ভারত তখনও স্বাধীন হয়নি৷ মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির (বর্তমানে তামিলনাড়ু) তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী চক্রবর্ত্তী রাজাগোপালচারী (পরবর্তীতে তিনি স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হন) হিন্দিকে মাদ্রাজের মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার ভাষা হিসেবে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত জানান৷ এরপরই শুরু হয় তীব্র আন্দোলন৷ আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, উত্তর ভারতের আর্যরা হিন্দিতে ভর করে দক্ষিণ ভারতের দ্রাবিড়দের শাসন করতে চাইছে।
১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত টানা আন্দোলন চলতে থাকে৷ অনশন, বিক্ষোভ মিছিল ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল ও অফিসে ভাংচুরও চালাতে থাকে আন্দোলনকারীরা৷
এই আন্দোলনে এক হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ-শিশুকে আটক করা হয়৷ পুলিশের হেফাজতে মারা যান নটরাজন এবং থালামুথু নামের দুই বিক্ষোভকারী৷ প্রথম তামিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদের মর্যাদা দেয়া হয় তাদের। মাদ্রাজের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস পার্টিও এ ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে যায়৷ পরবর্তীতে ১৯৩৯ সালে ব্রিটেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে আন্দোলন থামাতে ব্রিটিশ গভর্নর এর্সকিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক এর বদলে ‘ঐচ্ছিক’ বলে ঘোষণা দেন৷
ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কেন্দ্রীয় কংগ্রেস সরকার দেশের সব রাজ্যে স্কুলে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেয়৷ অন্য রাজ্যের মতো মাদ্রাজ সরকারও তা মেনে নিয়ে ১৯৪৮-৪৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলে হিন্দি বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে৷ আবার শুরু হয় আন্দোলন৷ আবারও চলে গ্রেপ্তার, মারপিট, বিক্ষোভ৷ এবারও পিছু হটে সরকার৷ ১৯৫০-৫১ শিক্ষাবর্ষ থেকে হিন্দি ‘ঐচ্ছিক’ ঘোষণা দেয় সরকার৷
এই আন্দোলন স্বাধীনতার পরেও তামিলরা করে গেছেন। ভাষার দাবিকে কেন্দ্র করে দ্রাবিড়িয়ান ভাষার মানুষদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রের আন্দোলনও ভারত স্বাধীন হওয়ার পর চালিয়েছেন তামিননাড়ুর রাজনৈতিক নেতারা। তবে পরবর্তীতে তারা সে অবস্থান থেকে সরে আসেন।
১৯৫০ সালে ভারতের সংবিধান কার্যকর হয়, হিন্দি এবং ইংরেজিকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা না করে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত যৌথ দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়। দিল্লির শাসকদের পরিকল্পনা ছিল ১৫ বছর ধরে ধীরে ধীরে ইংরেজি সরিয়ে হিন্দিকে একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা করার।
আবার হিন্দিকে চাপিয়ে দেয়া হবে, এমন ভয় থেকে ১৯৬৩ সালে দ্রাভিড়া মুন্নেত্রা কাড়াকাম- ডিএমকে আবার আন্দোলন শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু তাদের আশ্বস্ত করার জন্য অফিশিয়াল ল্যাংগুয়েজ অ্যাক্ট পাস করান। কিন্তু সেখানে একটি অংশে হিন্দির পাশাপাশি ইংরেজি ব্যবহার 'করা যাবে' এর বদলে 'করা হবে' লেখার দাবি তোলেন তামিল নেতারা। তাদের দাবি না মেনেই আইনটি পাস হলে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ। সংবিধান পোড়ানোর অভিযোগে ডিএমকের শীর্ষ নেতা আন্নাদুরাইসহ পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ডিএমকে সদস্য কেড়াপাল্লুভুর চিন্নাসামি নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মাহুতি দেন। দ্বিতীয় তামিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ মনে করা হয় তাকে। হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ১৯৬৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিরালিমালাই শানমুগাম বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। তাকেও শহিদের মর্যাদা দেয়া হয়।
১৯৬৫ সালের ২৬ জানুয়ারি শেষ হয় হিন্দি ও ইংরেজির যৌথ দাপ্তরিক ভাষা ব্যবহারের ১৫ বছরের মেয়াদ। ২৫ জানুয়ারি মাদুরাই শহরে ছাত্ররা বিশাল মিছিল বের করে, ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। দ্রুতই এই সংঘর্ষ দাঙ্গা আকারে পুরো মাদ্রাজ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেস রাজ্য সরকার বিক্ষোভ দমনে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে। প্রায় দুই মাস ধরে চলা সংঘর্ষে সরকারি হিসেবেই প্রাণ হারান ৭০ জন, কোনো কোনো বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।
এরপর কেন্দ্রীয় কংগ্রেস সরকারের প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রী 'অহিন্দি ভাষাভাষী রাজ্য না চাইলে হিন্দি দাপ্তরিক ভাষা করা হবে না', এমন ঘোষণা দিলে ধীরে ধীরে শান্ত হয় পরিস্থিতি।
তামিলদের তীব্র বিরোধিতার কারণে হিন্দিকে ভারতের রাষ্ট্রভাষা করা যায়নি এবং এখনও ভারতের কোনো রাষ্ট্রভাষা নেই। আর হিন্দি চাপিয়ে দেয়ার অবস্থান নেয়ার ফলশ্রুতিতে ১৯৬৭ সালের নির্বাচনে ডিএমকের কাছে রাজ্যের ক্ষমতা হারায় কংগ্রেস। এখন পর্যন্ত আর কখনই কংগ্রেস তামিলনাড়ুতে জিততে পারেনি।
২) নেপাল ভাষা আন্দোলন
কাঠমাণ্ডু উপত্যকায় নেওয়ার আদিবাসীদেরই রাজত্ব ছিল। কিন্তু ১৭৬৮ সালে প্রতিবেশী গোর্খারা কাঠমাণ্ডু দখল করে নিলে ধীরে ধীরে কাঠমাণ্ডুতে কর্তৃত্ব হারাতে থাকে নেওয়ারিরা। নেপাল ভাষা সরিয়ে গোর্খা ভাষাকেই রাজসভার ভাষার স্বীকৃতি দেয়া হয়।
১৯০৬ সালে রাজসভায় নেপাল ভাষা ব্যবহার করা যাবে না বলে রাজকীয় ঘোষণা জারি হয়। পরবর্তী বছরগুলোতে নেপাল ভাষায় লেখালেখির অপরাধে লেখকদের জরিমানা, বেত্রাঘাত, কারাদণ্ড দেয়া হয়, বই পুড়িয়ে ফেলা হয়। এমনকি এই ভাষায় প্রকাশ্যে গান গাওয়াও নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়।
১৯০৯ থেকে ১৯৪১ সালকে নেপাল ভাষার জন্য নজাগরণের কাল ধরা হয়। ভাষার বিলুপ্তি রক্ষায় রাজার আদেশ অমান্য করে বিভিন্ন লেখক নেপাল ভাষায় লেখালেখি করতে শুরু করেন। একই সময়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনও। বেশ কয়েকজন লেখককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দেয়া হয়, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নির্বাসনে পাঠানো হয়।
১৯৪১ সালের ২৪ জানুয়ারি ফাঁসি দেয়া হয় নেপাল ভাষা ব্যাকরণের লেখক শুক্ররাজ শাস্ত্রীকে।
১৯৫১ সালে রানা বংশের পতন ঘটে। নেওয়ারদের ভাগ্যে সাময়িক পরিবর্তন আসে। নেপাল ভাষায় পত্রিকা ও রেডিওও চালু হয়। ১৯৫৮ সালে কাঠমাণ্ডু পৌরসভা নেপাল ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষার স্বীকৃতি দেয়।
১৯৬০ সালে আবার গণতন্ত্রের পতন ঘটে, পার্লামেন্ট বাতিল করে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা চালু করা হয়। নেওয়ারদের ভাগ্যে আবার বিপর্যয় নামে। ১৯৬৩ সালে কাঠমাণ্ডু পৌরসভার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। নেপাল রেডিও নেপাল ভাষা ব্যবহার বন্ধ করে।
১৯৯০ সালে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার পতনের পর আবার কিছুটা স্বাধীনতা পায় নেপাল ভাষা। ৯০ সালের সংবিধানে নেপালকে বহুভাষিক ও বহুজাতিক রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৯৭ সালে কাঠমাণ্ডু পৌরসভা ঘোষণা দেয় ১৯৫৮ সালে তারা নেপাল ভাষাকে যে স্বীকৃতি দিয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনা হবে। এর পরপরই কয়েক মাসের মধ্যে আরো ছয়টি পৌরসভা একই ঘোষণা দেয়।
তবে বিরোধীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করলে ১৯৯৯ সালের ১ জুন সুপ্রিম কোর্ট পৌরসভাগুলোর সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে রায় দেয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ১ জুন কালো দিবস পালন করে আসছে নেপাল ভাষার মানুষেরা।
২০০৬ সালে আরেকটি বিপ্লবের মাধ্যমে রাজতন্ত্র পুরোপুরি উচ্ছেদ করে রিপাবলিকে পরিণত হয় নেপাল। আশা করা হচ্ছে এবার হয়তো নেওয়ারদের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
২০২০ সালে কাঠমাণ্ডু পৌরসভা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে নেপাল ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অবশেষে নেওয়াররা কি পাবে ভাষার অধিকার?
৩) বাংলা ভাষা আন্দোলন, আসাম
ভারতে রাষ্ট্র হিসেবে তো বটেই, রাজ্যগুলোতেও দাপ্তরিক ভাষা কী হবে তা নিয়ে নানা ক্ষেত্রেই রয়েছে দ্বন্দ্ব। তবে আসামের মতো এত বড় দ্বন্দ্ব সম্ভবত অন্য কোনো রাজ্যে হয়নি। এ দ্বন্দ্ব এখনও চলমান।
১৯৬০ সালে অসমিয়াকে আসামের একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা ঘোষণা দেয়ার প্রস্তাব ওঠে। এর প্রতিবাদে বাড়তে থাকে অসমীয়া-বাঙালি উত্তেজনা। জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে অন্তত দেড় লাখ বাঙালি ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বরাক উপত্যকায় পালয়ে যেতে বাধ্য হয়। হামলার শিকার হয়ে নিহত হন অন্তত নয় জন বাঙালি। বিরোধিতার মধ্যেই ১৯৬০ সালের ২৪ অক্টোবর অসমিয়াকে আসামের একমাত্র সরকারি ভাষা স্বীকৃতি দেয়া হয়।
বরাক উপত্যকায় তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়, নানা বিক্ষোভ ও কর্মসূচিতে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। কাছাড় গণ সংগ্রাম পরিষদের একটি পদযাত্রা শেষে ঘোষণা আসে, বাংলাকে সরকারি ভাষা না করা হলে ১৯ মে ব্যাপক হরতাল হবে।
১৯ মে বরাক উপত্যকার শিলচর, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দিতে হরতাল ও পিকেটিং আরম্ভ হয়। শিলচর রেলস্টেশনেও উপস্থিত ছিলেন পিকেটাররা। বিকেল চারটায় হরতাল শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুপুরের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আড়াইটার দিকে আধাসামরিক বাহিনী পিকেটারদের ওপর গুলি চালায়, ঘটনাস্থলেই নিহত হন নয় জন, পরে হাসপাতালে মারা যান আরো দুই আন্দোলনকারী। ভাষার দাবিতে প্রাণ দেয়া প্রথম নারী শহিদ কমলা ভট্টাচার্যের বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর।
আসাম রাজ্যের সরকারি ভাষা না করলেও এই ঘটনার পর বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। প্রতি বছর ১৯ মে বরাকে বাংলা ভাষা শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
৪) বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা আন্দোলন, আসাম ও ত্রিপুরা
দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের আলাদা ভাষার মর্যাদার দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা। ভারতের মণিপুর, আসামের বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা, এমনকি বাংলাদেশেও মণিপুরীর স্বীকৃতি নিয়ে জাতিগত দ্বন্দ্ব ছিলো। মণিপুরীদের আদিভূমি মনিপুরের সিংহভাগ আধিবাসী মৈতেয় মনিপুরী। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর সদস্য হবার কারণে এবং বাংলা-অহমিয়ার সাথে সাদৃশ্যের জন্য বিষ্ণুপ্রিয়াদের ভাষাকে মণিপুরী মানতে নারাজ ছিলেন সংখ্যাগুরু মৈতেয় মনিপুরিরা।
আসাম ও ত্রিপুরায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বিষ্ণুপ্রিয়াদের বাস। স্কুলগুলোতে শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বিষ্ণুপ্রিয়া চালুর দাবিতে আসামের বরাক উপত্যকায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৫৫ সালে। প্রায় চার দশক ধরে তীব্র আন্দোলন-সংগ্রামের পরও দাবি আদায় করা যায়নি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও সেগুলো কখনই কার্যকর করা হয়নি।
৯০ এর দশকে নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে আন্দোলন আরো চরমে ওঠে। ১৯৯৫ সালের ২৬ মে ত্রিপুরা সরকার প্রাথমিক স্কুলগুলোতে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী অন্তর্ভূক্ত করে। কিন্তু আসাম সরকারের সিদ্ধান্ত তখনও আসেনি।
ত্রিপুরায় সফল হওয়ায় আসামের বরাক উপত্যকায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের ভাষা আন্দোলন আরো তীব্র হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে আন্দোলনকারীরা ৫০১ ঘন্টার রেল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাথারকান্দির কলকলিঘাট রেলস্টেশনে আন্দোলনকারীদের একটি মিছিলে পুলিশ গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বিশ্বের দ্বিতীয় নারী ও প্রথম আদিবাসী নারী ভাষাশহীদ সুদেষ্ণা সিংহ। পরে হাসপাতালে মারা যান আরেক ভাষাবিপ্লবী সলিল সিংহ।
অবশ্য তারপরও আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বিষ্ণুপ্রিয়াদের। ২০০১ সালে অবশেষে স্কুলে বিষ্ণুপ্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত কার্যকর করে আসাম সরকার। ২০০৬ সালের ৮ মার্চ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীকে স্বতন্ত্র ভাষার স্বীকৃতি দেয়।
Komentáře